দোয়া ইউনুস প্রতিদিন ১০০০ বার পাঠের ফজিলত ছবি সহ পড়ার নিয়ম

দোয়া ইউনুস প্রতিদিন ১০০০ বার পাঠের ফজিলত অনেক যা আপনার কঠিন বিপদের সময়ে এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা নিজের আশ্রয় প্রদান করবেন। দোয়া ইউনুস হচ্ছে সেই দোয়া যা পাঠ করে হযরত ইউনুস (আঃ) তার বিপদ থেকে উদ্ধার হয়েছিলেন।

দোয়া-ইউনুস-প্রতিদিন-১০০০-বার-পাঠের-ফজিলত

দোয়া ইউনুস এমন একটি শক্তিশালী দোয়া যা আপনার জীবনের সকল বিপদে বিভিন্ন অছিলায় আপনাকে আল্লাহ তায়ালা রক্ষা করবে। আজ আমরা এই আর্টিকেলে দোয়া ইউনুস প্রতিদিন কিভাবে এবং কি কি নিয়মে পড়বেন তা জানাবো। 

সূচিপত্রঃ দোয়া ইউনুস প্রতিদিন ১০০০ বার পাঠের ফজিলত বিপদের সময় 

দোয়া ইউনুস

হযরত ইউনুস (আঃ) কে মাঝে যখন গ্রাস করলো তখন তিনি বিপদে পড়ে এ দোয়া পাঠ করার সাথে সাথে মাছের পেটে ব্যথা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত মাছ তাকে পেট হতে বমি করে ফেলে দিতে বাধ্য হয়।

যখন কোন মানুষের ওপর অথবা দেশের উপর কঠিন বালা মুসিবত অবতীর্ণ হয়, তখন নিম্নের দোয়াটি পাঠ করে আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করলে আল্লাহ তা'আলা বিপদ থেকে অবশ্যই রক্ষা করবেন। কঠিন বিপদ আপদ বা রোগের সময় এই দোয়াটি অনেক কার্যকর।

প্রয়োজনে পরহেজগার মানুষ একত্রিত হয়ে নিম্নের দোয়া এক লক্ষ ২৫ হাজার বার পাঠ করে আল্লাহর দরবারে দোয়া করলে সুফল পাওয়া যায় বলে মনে করেন। এমনকি অনেক সময় সাথে সাথে ফল পেতে দেখা গিয়েছে। 

দোয়া ইউনুস আরবী

لَا إِلَٰهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ

দোয়া ইউনুস বাংলা উচ্চারন 

''লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নে কুন্টু মিনাজ জালিমিন'' 

দোয়া ইউনুস ১০০ বার পড়ার পরের দোয়া

দোয়া ইউনুস ১০০ বার পড়ার পরের দোয়া হচ্ছে আপনি যা চান তা আল্লাহর কাছে হালাল উপায়ে চাওয়া। তাছাড়া, দোয়া ইউনুস প্রতিদিন ১০০০ বার পড়ার অনেক ফজিলত রয়েছে যা আপনারা আমাদের সম্পুর্ন আর্টিকেল পড়লে জেনে যাবেন। 

আরো জিজ্ঞেসিত প্রশ্ন-উত্তর

প্রশ্নঃ খতমে ইউনুস দোয়া কোনটি?

উত্তরঃ খতমে ইউনুস দোয়া হচ্ছে; ''লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নে কুন্টু মিনাজ জালিমিন'' । 

প্রশ্নঃ সিজদায় দোয়া ইউনুস পড়া যাবে কি?

উত্তরঃ না, বিশেষ করে ফরজ নামাজের সিজদায় দোয়া ইউনুস পড়া যাবে না। যেহেতু এটি একটি কোরআনের আয়াত তাই তা সিজদায় পড়া যাবেনা। 

প্রশ্নঃ দোয়া ইউনুস খতমের দলিল কি?

উত্তরঃ না, দোয়া ইউনুস খতমের কোন দলিল নেই। 

প্রশ্নঃ দোয়া ইউনুস কি ইস্তেগফার? 

উত্তরঃ না, দোয়া ইউনুস কোন ইস্তেগফার না। হযরত ইউনুস (আঃ) তার কঠিন বিপদের সময় আল্লাহর কাআছে আশ্রয় চেয়ে এই দোয়া পাঠ করেছিলেন।    

দোয়া ইউনুস প্রতিদিন ১০০০ বার পাঠের ফজিলত

দোয়া ইউনুস প্রতিদিন ১০০০ বার পাঠের ফজিলত সম্পর্কে কিছু মুফতিগন বলেন যে, যে ব্যক্তি  তার দোয়া বা হালাল চাওয়া কবুকের জন্য ৫০০ থেকে ১০০০ বার দোয়া ইউনুস ৪০ দিন পাঠ করবে তার সেই দোয়া অবশ্যই কবুল করা হবে। দোয়া ইউনুস বারবার পড়লে বাড়তি ফজিলতও রয়েছে।  

  • সকাল-সন্ধ্যা কমপক্ষে ২১ বার পাঠ করুন।
  • ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর ১০০ বার পড়বেন। 
  • আধ্যাত্মিক রহমত ও সুরক্ষার জন্য ৩১৩ বা দোয়া ইউনুস প্রতিদিন ১০০০ বার পাঠ করুন।
  • একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বার দোয়া ইউনুস পাঠ করা প্রতিদিনের রুটিন করুন।

দোয়া ইউনুস প্রতিদিন ১০০০ বার পাঠের ফজিলত হচ্ছে এটি আপনার মন, শরীর এবং আত্মার জন্য প্রচুর শান্তি নিয়ে আসতে পারে। এই দোয়ার সাথে সম্পর্কিত কিছু ফজিলত দোওয়া হলো- 

  • দুঃখ-কষ্টের সময়ে আল্লাহর সাহায্য ও রহমত প্রার্থনা করে।
  • উদ্বেগ, শোক এবং হতাশা থেকে মুক্তি দেয়।
  • আল্লাহর সামনে আন্তরিকতা, অনুতাপ ও ​​নম্রতা অনুপ্রাণিত করে।
  • দোয়ায় সাড়া দেওয়ার জন্য আল্লাহর শক্তিতে বিশ্বাসকে শক্তিশালী করে।
  • অবরুদ্ধ রহমতের দরজা খুলে দেয় এবং অসুখের পরে স্বাচ্ছন্দ্যের পথ প্রশস্ত করে।
  • দোয়ার বরকত দ্বারা ক্ষতি ও অসুস্থতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  • তাড়াহুড়া বা হতাশার মধ্যে নেওয়া ভুল সিদ্ধান্ত থেকে রক্ষা করে।
  • পরীক্ষার সম্মুখীন হলে ধৈর্য এবং অধ্যবসায়কে অনুপ্রাণিত করে।

দোয়া ইউনুস বাংলা অর্থসহ

দোয়া ইউনুস বাংলা অর্থসহ

لَا إِلَٰهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ

উচ্চারণঃ ''লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নে কুন্টু মিনাজ জালিমিন'' 

অর্থঃ "তুমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই;  তুমি মহিমান্বিত। নিশ্চয়ই আমি জালেমদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম।"

দোয়া ইউনুস কখন পড়তে হয়

দোয়া ইউনুস যেকোন সময় পাঠ করা যেতে পারে, তবে কিছু নির্দিষ্ট সময় রয়েছে যখন দোয়া ইউনুসের ফজিলত বহুগুণ বেড়ে যায়-
  • যখন উদ্বেগ, চাপ বা শোক দ্বারা অভিভূত বোধ তখন দোয়া ইউনুস  পড়ুন। 
  • একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের আগে, পরীক্ষা, ইন্টারভিউ, ভ্রমণ ইত্যাদি।
  • তাওবাহ করার সময় এবং গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা জন্য।
  • হঠাৎ অসুস্থতা, ক্ষতি বা ক্ষতি দ্বারা আক্রান্ত হলে।
  • যখন সমস্যা ও বিভ্রান্তি থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পান না তখন।
  • ঝড়, আগুন, ভূমিকম্প বা যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়।
  • একা ভ্রমণের সময় ভয় পেলে বা হারিয়ে গেলে।
  • অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা বা বিপর্যয় মোকাবেলা করার সময়।
  • সন্তান প্রসবের সময় অসুবিধা এবং জটিলতা কমাতে।
  • জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও পরিবর্তনের আগে বরকত চাওয়ার আগে।
  • বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকালে দোয়া কবুলের জন্য। 

দোয়া ইউনুস পড়ার নিয়ম

দোয়া ইউনুস পড়ার নিয়ম বলতে কিছু নেই। তবে আপনি অতিরিক্ত ফজিলত অর্জনের জন্য আল্লাহর কাছে কিছু চাওয়ার আগে এবং পরে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর দরূদ পাঠাতে পারেন। যদি আপনি স্বস্তি ও সুরক্ষার উদ্দেশ্যে এটি পাঠ করেন, তবে আল্লাহর ইচ্ছায় প্রয়োজন পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

দোয়া-ইউনুস-পড়ার-নিয়ম

দোয়া ইউনুস নিঃসন্দেহে অপার নিয়ামতের ভান্ডার। এর ইতিহাস অনুধাবন করে, এর অর্থের প্রতি চিন্তা-ভাবনা করে এবং বিশ্বাস ও আন্তরিকতার সাথে এটি নিয়মিত পাঠ করলে, আপনি ইহকাল ও আখিরাতে প্রচুর ফজিলত পেতে পারেন। এটা যে কোনো ধরনের কষ্ট বা বিপদের সম্মুখীন বিশ্বাসীদের জন্য সান্ত্বনা, শক্তি এবং অনুপ্রেরণার উৎস।

আরো জিজ্ঞেসিত প্রশ্ন-উত্তর

প্রশ্নঃ দোয়া ইউনুস পড়লে কি দোয়া কবুল হয়?

উত্তরঃ হ্যা, নেক বা হালাল ইচ্ছার সাথে দোয়া ইউনুস পড়লে দোয়া কবুল হয়। দোয়া ইউনুস প্রতিদিন ১০০০ বার পাঠ করলে আপনার দোয়া আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই কবুল করবেন।

প্রশ্নঃ ইউনুস কত আয়াত?

উত্তরঃ দোয়া ইউনুস সূরা আল-আম্বিয়ার ৮৭ নং আয়াত। এই সূরা মক্কায় অবতীর্ন হয়। 

প্রশ্নঃ কত বার পড়লে দোয়া ইউনুস খতম হয়?

উত্তরঃ বেশির ভাব মানুষ মনে করেন যে, ১ লহ্ম্য ২৫ হাজার বার পড়লে দোয়া ইউনুস খতম দেওয়া হয়।

দোয়া ইউনুস কোন সূরার আয়াত

দোয়া ইউনুস কোন সূরার আয়াত তার উত্তর হচ্ছে, দোয়া ইউনুস সূরা আল-আম্বিয়ার ৮৭ নাম্বার আয়াত এর অংশ। দোয়া ইউনুস সম্পর্কে অনেক গুলো সূরায় বর্ননা করা হয়েছে, নিচে চেই সূরা গুলোর আয়ত বর্ননা করা হলো-

  • কোরানের আয়াতে বলা হয়েছে যে তিনি অন্ধকারের স্তরগুলোর মতো "অন্ধকারে" ছিলেন, প্রথমটি রাত, দ্বিতীয়টি সমুদ্রের পানির গভীরে সমাহিত হয়েছিল এবং তৃতীয় অন্ধকারটি তিমির পেটের ভিতরে শ্বাসরোধ করছিল। এই অন্ধকারেই তিনি আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করলেন, "তুমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই;  তুমি মহিমান্বিত।  নিশ্চয়ই আমি জালেমদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম।"  (২১ঃ৮৭) 
  • হযরত ইউনূস (আঃ) ক্রমাগত আল্লাহকে স্মরণ করতেন এবং উপাসনা করতেন এই কারণে আমাদের বলা হয়েছে যে তিনি প্রচুর সদিচ্ছা তৈরি করেছিলেন। এখন, যখন তার আল্লাহর সাহায্যের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল, তখন আল্লাহ তাতে সাড়া দিয়েছিলেন,"অতএব আমরা তাকে সাড়া দিয়েছিলাম এবং তাকে বিপদ থেকে রক্ষা করেছি।  আর এভাবেই আমরা মুমিনদের রক্ষা করি।"  (২১ঃ৮৮2)
  • ইউনূস (আঃ)-এর জীবনের সবচেয়ে অন্ধকার মুহুর্তে তিনি স্মরণ করেছিলেন এবং আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালার) দিকে ফিরেছিলেন, তিনি তাঁর একত্ব উপলব্ধি করেছিলেন এবং তাঁকে উচ্চতর করেছিলেন। একটি দুর্বল এবং মরিয়া অবস্থানে, তিনি আল্লাহর নিকটবর্তী হন এবং আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) তার ডাকে সাড়া দিয়ে ইউনূসকে মুক্তি দেন।  কুরআনে আল্লাহ বলেন, "তিনি কি [সর্বোত্তম নন] যিনি হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তির ডাকে সাড়া দেন এবং মন্দতা দূর করেন এবং তোমাদেরকে পৃথিবীর উত্তরাধিকারী করেন?  আল্লাহর সাথে কি কোন উপাস্য আছে?  তোমার খুব কম মনে আছে।"  (২৭ঃ৬২)
  • ইউনুস (আঃ) যুক্তিযুক্ত করেছেন যে অন্যান্য অনেক সম্প্রদায়ের ইসলামের দাওয়াত প্রয়োজন। যদি এই মানুষেরা তার আহ্বান গ্রহণ না করত তবে সে তার সময় এবং শক্তি অন্যত্র ব্যয় করবে। তাই,তিনি চলে গেল। সূরা সাফফাতে ইউনুসে বলা হয়েছে, " ভোরা জাহাজের দিকে পালিয়ে গেল।"  (৩৭ঃ১৪০)

দোয়া ইউনুস এর হাদিস

দোয়া ইউনুস এর হাদিস সম্পর্কে ইব্রাহীম বিন মুহাম্মদ বিন সা'দ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, সা'দ থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ

"তিমির পেটে থাকা অবস্থায় ধুন-নুন (নবী ইউনূস) এর দোয়া ছিল; 'তুমি ছাড়া আর কেউ ইবাদতের যোগ্য নেই, তুমি পবিত্র, আমি সীমালঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত। (লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ-যালিমিন)’ সুতরাং প্রকৃতপক্ষে, কোন মুসলমান মানুষ কখনও কোন কিছুর জন্য এই দোয়া পড়ে প্রার্থনা করেন, তবে আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি সাড়া দেন।

সহিহ (প্রমাণিত)

জামি আত-তিরমিযী ৩৫০

দোয়া ইউনুস এর ইতিহাস

দোয়া ইউনুস এর ইতিহাস কোআরনে,হযরত ইউনূস (আঃ)-কে ধুল-নুন নাম দিয়ে বোঝায় যার অর্থ মাছের সঙ্গী বা মাছের মানুষ। এই ডাকনামের পিছনের ইতিহাস হচ্ছে, যে তিনি আল্লাহর আদেশ অস্বীকার করেছিলেন। 

শাস্তিস্বরূপ, আল্লাহ একটি তিমি পাঠিয়েছিলেন এবং তাকে পুরো গ্রাস করে ফেলেন। ইউনুস (আঃ) এর কাহিনীর একটি দ্রুত সংক্ষিপ্তসার, আল্লাহ তাকে নিনেভের হারিয়ে যাওয়া সম্প্রদায়কে ( যা আমরা উত্তর-ইরাক হিসাবে জানি) ইসলামের পথ প্রদর্শন করার জন্য নিযুক্ত করেছিলেন।

আল্লাহর নির্দেশ স্পষ্ট ছিল, হারিয়ে যাওয়া সম্প্রদায়কে আল্লাহ ও ইসলামের দিকে ফিরিয়ে আনার জন্য।  কিন্তু ইউসুফ নবীর পূর্ববর্তী সকল নবীদের মত তারও কঠিন সময় ছিল এবং মানুষরা তার বাণী অস্বীকার করেছিল। 

দোয়া ইউনুস এর বিস্তারিত ইতিহাস  

ইউনুস (আঃ) আল্লাহর সম্মতি ব্যতীত তার দায়িত্ব অস্বীকার করেছিলেন এবং যাত্রা করেছিলেন।  আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) ইউনুস (আ.)-এর জন্য একটি ঝড় পাঠিয়েছিলেন কারণ তিনি তার ভাগ্যকে অস্বীকার করতে পারেননি - তাকে পুনর্মিলন এবং অনুতাপ করতে হবে।

জাহাজটি ছিল "বোঝাই" যার অর্থ সম্পূর্ণ ভরাট বা ভারী তাই যখন ঝড় জড়ো হয়েছিল, তারা দেখতে পেল তাদের জাহাজটি ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে। একে একে তারা জাহাজের ভার হালকা করার জন্য যেকোন লাগেজ ছুঁড়ে দিল, কিন্তু তবুও, এটি অনেক ভারী ছিল।

একবার তারা সবকিছু ফেলে দিয়েছিল, তারা বুঝতে পেরেছিল যে জাহাজটিকে বাঁচানোর একমাত্র উপায় হল একজন মানুষকে পানিতে ফেলে দেওয়া। কেউই স্বেচ্ছাসেবক হতে চায়নি, তাই তারা স্থির করার সবচেয়ে নিরপেক্ষ উপায় স্থির করেছিল যে লটারি করা হবে যাতে প্রতেকের নাম থাকবে এবং সেখান থেকে একটি নাম বাছাই করা ভবে।

তবে যে কারণেই হোক না কেন, সম্ভবত জাহাজের লোকেরা ইউনূসকে পছন্দ করেছিল কারণ তিনি ছিলেন সদয়, ধার্মিক এবং জাহাজের ক্রুদের মনোবল বৃদ্ধিকারী, তাই তারা দ্বিতীয় এবং তৃতীয়বার লটারি করেন। 

প্রতিবার, ইউনুস (আঃ) নাম টানা হয়েছিল, ইউনুস (আঃ) জানতেন এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি চিহ্ন যে তিনি পালাতে পারবেন না। যেখানে প্রত্যেকের হারানোর সমান সুযোগ ছিল। প্রথম নামটি ছিল ইউনুস (আঃ) "এবং তিনি লট (তার নাম বেছে নিয়েছিলেন) টেনেছিলেন এবং ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে ছিলেন।"  (৩৭ঃ১৪১) 

এবং তাকে পানিতে ফেলে দেওয়া হয়,তারপর একটি তিমি ভূপৃষ্ঠে এসে ইউনূস (আ.)-কে গিলে ফেলে এবং তাকে গভীর পানিতে নিয়ে যায় যেখানে তিনি অন্ধকারের তিনটি স্তরে নিমজ্জিত ছিলেন - রাত, সমুদ্র এবং তিমির পেটের ভিতরে। এখানে তিনি ক্ষমার জন্য এই দোয়া পাঠ করে নাজাত পান।

লেখকের মন্তব্যঃ দোয়া ইউনুস প্রতিদিন ১০০০ বার পাঠের ফজিলত বিপদের সময় 

আপনি যদি পূর্ন ইমানের সাথে ১০০০ বার দোয়া ইউনুস প্রতিদিন পাঠ করেন,তবে আপনি এর ফজিলত বিপদের সময় অবশ্যই পাবেন। আপনি যেকোনো বিপদের সম্মুখীন হন না কেন, দোয়া ইউনুস পাঠের মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবেন।

দোয়া ইউনুস একটি শক্তিশালী দোয়া যা সম্বন্ধে হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কোন কিছু চাওয়ার আগে দোয়া ইউনুস পাঠ করে তবে আল্লাহ তা'আলা তার সেই দোয়া অবশ্যই কবুল করেন। আশা করি আমাদের দেওয়া তথ্যগুলো মোতাবেক আপনি আমল করবেন, আল্লাহ তায়ালা আপনাকে আমল করার তৌফিক দান করুন। (আমিন)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আইটি সমাজের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url