মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪ সালে স্কলারশিপ নিয়ে

মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে এবং দেশের বাইরের যেকোনো দেশে যাওয়ার খরচ কত তা সম্পর্কে জানতে অনেকে আগ্রহী। মালয়েশিয়া একটি উন্নতশীল দেশ, যেখানে আপনি মন মত পেশা বাছাই করে কাজ করতে যেতে পারেন।

মালয়েশিয়া-যেতে-কত-টাকা-লাগে

তাছাড়া আপনি স্টুডেন্ট হিসেবেও স্কলারশিপ নিতে পারেন। আজ আমাদের আর্টিকেলে থাকছে আপনি কিভাবে মালয়েশিয়া যেতে পারবেন এবং মালেশিয়া যেতে কত টাকা লাগবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা। 

সূচিপত্রঃ মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪ সালে বিস্তারিত দেখে নিন 

২০২৪ সালে কিভাবে মালয়েশিয়া যাওয়া যাবে

২০২৪ সালে কিভাবে মালয়েশিয়া যাওয়া যাবে তার ৩টি সহজ উপায় সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত ধারণা দিব। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না,যে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়াতে আসার কলিং ভিসা চালু আছে। 

আজ আমরা আপনাদেরকে জানাবো যে আপনি কিভাবে ২০২৪ সালে মালয়েশিয়াতে যাবেন এবং কোন ভিসা আপনাকে মালয়েশিয়াতে এন্ট্রি দিবে। প্রথমত ভিজিট ভিসার কথা বলা যাক, এই ভিসাতে আপনারা যারা ঘুরতে অথবা ব্যবসার ক্ষেত্রে আসতে চান,

২০২৪ সালে যেভাবে মালয়েশিয়া যাওয়া যাবে

  • ভিজিট বা ভ্রমন ভিসা নিয়ে
  • স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে
  • কলিং ভিসা 

তারা ভিজিট ভিসা অথবা যাকে ভ্রমণ ভিসা বলা হয় সেই ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়াতে যেতে পারেন।বর্তমানে মালয়েশিয়ার ভিসা স্টিকার হয় না, সব ভিসা গুলোই এই ভিসা হিসেবে পাওয়া যায়। মালয়েশিয়া যেতে আপনাকে এই ভিসা অনলাইনের মাধ্যমেই নিতে হবে।

আপনি নিজে এই ভিসা অ্যাপ্লিকেশন করতে পারেন সেজন্য আপনাকে সরাসরি মালেশিয়ার ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে এই ভিসার জন্য অ্যাপ্লিকেশন দিতে হবে আবেদন করতে হবে। ২০২৪ সালে মালয়েশিয়াতে সাধারণত সিঙ্গেল এন্ট্রি এক মাসের জন্য ভিসা দিয়ে থাকে।

২০২৪ সালে মালয়েশিয়াতে যেতে কত টাকা লাগবে এবং আপনি সর্বোচ্চ কতদিন মালেশিয়ায় অবস্থান করতে পারবেন তা আপনি পুরো আর্টিকেলটি পরলে জেনে যাবে। তাছাড়া এখানে থাকছে আপনার এই মালয়েশিয়ার সিঙ্গেল ইন্টারভিসা করতে কত টাকা খরচ হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়েছে। 

মালয়েশিয়ায় প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা 

সমস্ত বিদেশী ভ্রমণকারীকে তাদের COVID-19 টিকার অবস্থা নির্বিশেষে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় এবং তাদের প্রি-ডিপার্চার বা অন-অ্যারাইভাল COVID-19 পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না। 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত কোনো কোয়ারেন্টাইন আদেশ নেই যা মালয়েশিয়া সরকার আগমনের পরে বলবৎ করে। মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করার আগে সমস্ত বিদেশী ভ্রমণকারীদের অবশ্যই নিম্নলিখিত প্রয়োজনীয়তাগুলো পূরণ করতে হবে-

  • মালয়েশিয়ায় আসার পর ৬ মাসেরও বেশি সময়ের জন্য বৈধ একটি পাসপোর্ট রাখুন।
  • মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য ভিসা প্রয়োজন এমন কোনো দেশের পাসপোর্ট থাকলে ভিসা নিন।
  • একটি বৈধ রিটার্ন টিকিট বা তৃতীয় কোনো দেশের টিকিট এবং মালয়েশিয়ায় আপনার থাকার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল থাকতে হবে।
  • আপনার দেশ প্রস্থানের ৩ দিন আগে মালয়েশিয়া ডিজিটাল আগমন কার্ড (MDAC) পূরণ করতে হবে।

মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে

বর্তমানে মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে বা আপনাকে মালেশিয়ার ভিসা নিতে কতো টাকা গুনতে হবে তা নির্ভর করবে আপনি কোন উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় যেতে চান তার উপর। আপনি যদি সিঙ্গেল এন্ট্রি হিসেবে যেতে চান তাহলে আপনাকে ভিজিট ভিসা আবেদন করতে হবে। 

এই ভিজিট ভিসা আপনি যেকোনো ট্রাভেল এজেন্সি থেকে সংগ্রহ করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনাকে  ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা গুনতে হতে পারে। তাছাড়া অনলাইন থেকে আপনার ভিসা করার মাধ্যমে আপনি আপ ডাউন টিকিট নিয়ে মালয়েশিয়া আসতে পারেন। 

কিন্তু আপনি মনে রাখবেন যে, ভিজিট ভিসাই সিঙ্গেল এন্ট্রিতে মালয়েশিয়া আসলে আপনাকে ২৯ দিনের মধ্যে দেশে ফেরত যেতে হবে। তাছাড়া এ ভিসা নিয়ে কোন অবস্থাতেই সিঙ্গেল টিকিট বা রিটার্ন টিকেট বুকিং কপি দিয়ে মালয়েশিয়াতে ঢুকতে পারবেন না, আপনার অবশ্যই আসা এবং যাওয়ার কনফার্ম টিকিট থাকা লাগবে।  

২০২৪ সালে মালয়েশিয়া যাওয়ার খরচ কত 

২০২৪ সালে মালয়েশিয়া যাওয়ার খরচ যদি আপনি ভ্রমণের জন্য যান, তবে মালেশিয়ায় এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশনের সময় আপনাকে পর্যাপ্ত টাকা অর্থাৎ ২০০০ রিঙ্গিত বা সমপরিমাণ ডলার তাদেরকে দেখাতে হবে। 

তাছাড়া আপনার ট্রেড লাইসেন্স,ভিজিটিং কার্ড, আপনার ছবি,পেশা প্রমাণপত্র এ ধরনের সকল প্রমাণ পত্র দেখি এই ভিসা একসেপ্ট করা হবে। অবশ্যই সাবধানে থাকবেন ভ্রমণ ভিসা নিয়ে কখনোই কাজের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় যাবেন না। 

মালয়েশিয়ায় যে কাজ করার জন্য এই ভিসা কখনো সমর্থন করে না। বর্তমানে অনেক দালালের কারণে মানুষ কম খরচে মালেশিয়ার ভিজিট ভিসা নিয়ে চলে যায় কিন্তু পরে কোন কাজ পায় না। যদি আপনি ভিজিট ভিসা নিয়ে কাজ করেন তাহলে আপনি অবৈধ হয়ে যাবেন। 

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা খরচ হয়

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা খরচ হয় তার উত্তর হচ্ছে আপনি যদি ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া ভিজিট ভিসায় যান তবে ভিসা আবেদন সহ আপনার লাগবে ৫৭০০০/- টাকা থেকে ৭৬০০০/- হাজার টাকা।

বাংলাদেশ-থেকে-মালয়েশিয়া-যেতে-কত-টাকা-খরচ-হয়

তাছাড়া আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তবে আপনাকে প্রতি বছর বাংলাদেশি ৪৬৫০০০/- থেকে ৬০০০০০/- টাকা খরচ করতে হবে। এই টাকার পরিনাণ কম বেশি হতে পারে আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বেন তার উপর। 

এবার আসা যাক  বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া কলিং বা চাকরি ভিসায় যেতে কত টাকা লাগবে, বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া কলিং বা চাকরি ভিসায় যেতে ভিসা নিতে ৬০০০ টাকার মতো লাগে। তাছাড়া কাজের জন্য মালয়েশিয়ায় যেতে ইমিগ্রেশনের সময় ১৬০০০০/- টাকা মতো খরচ হবে।  

আরো জিজ্ঞেসিত প্রশ্ন-উত্তর 

প্রশ্নঃ বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত সময় লাগে?

উত্তরঃ বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত সময় লাগে তা নির্ভর করে আপনি কোন মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন। আপনি যদি সরক পথ দিয়ে যান তবে আপনাকে ৩৫৩৪ কিমি অতিক্রম করে ২ দিন ৪ ঘন্টা সময় লাগবে। 

নৌযানে গেলে আপনার সময় লাগবে ৩ দিন ১৪ ঘন্টা এবং প্লেনে বা আকাশ পথে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে ৩ ঘন্টা ৫৫ মিনিট সময় লাগবে। 

প্রশ্নঃ ভারত থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে?

উত্তরঃ ভারত থেকে মালয়েশিয়া যেতে ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ রুপি লাগে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায়  ২০,০০০ থেকে ২৭,০০০ টাকা। 

প্রশ্নঃ মালয়েশিয়া যেতে কোথায় যোগাযোগ করতে হবে?

উত্তরঃ বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে ঢাকায় অবস্থিত হাই কমিশন অফ মালয়েশিয়ার অফিসে  যোগাযোগ করতে হবে। 

মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত

মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত তার ধারনা আমরা আপনাকে আগেই দিয়ে ফেলেছি। বর্তমানে মালয়েশিয়াতে ৩ টি ভিসা পাওয়া যায়। আপনি কোন ভিসা নিয়ে মালইয়েশিয়া যেতে চান তা অনুযায়ী  মালয়েশিয়ার ভিসার দাম নিচে উল্লেখ্য করা হয়েছে।

মালয়েশিয়ার ভিসার দাম

  • মালয়েশিয়ার ভিজিট ভিসার দাম ১০০০০-১১০০০/- 
  • মালয়েশিয়ার স্টুডেন্ট ভিসার দাম ২১০০০-২২০০০/- সর্বনিম্ন, এর চেয়ে বেশি লাগবে যদি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় না হয়। 
  • মালয়েশিয়ার চাকরি বা কলিং ভিসার দাম ২ থেকে ৪ লহ্ম্য টাকা সর্বনিম্ন । 

মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসার দাম কত

মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসার দাম কত তা জানলে আপনি অনেক অবাক হবেন। মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসাকে বলা হয় E ভিসা। বাংলাদেশী নাগরিক যারা নিয়মিত বাংলাদেশ পাসপোর্টে মালয়েশিয়া যেতে চান তাদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য একটি ভিসা প্রয়োজন এবং ৩০ দিনের বেশি থাকার অনুমতি নেই।

মালয়েশিয়ার-টুরিস্ট-ভিসার-দাম-কত

২০১৪ সালে কূটনৈতিক এবং সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসার প্রয়োজনীয়তা আংশিক বিলোপের বিষয়ে মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশ উভয় সরকারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে সামাজিক সফরের উদ্দেশ্যে পারস্পরিক ভিত্তিতে,বাংলাদেশ কূটনৈতিক বা অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসা ছাড় দেয়া হয়।

মালয়েশিয়া আসার সময় ৩০ দিনের বেশি না থাকার জন্য ভিজিট বা টুরিস্ট ভিসা জারি করা হয়। তাছাড়া মালেশিয়া অধ্যায়ন বা কাজের উদ্যোগ বা প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে বীরভূমির অবস্থানের জন্য বিচার প্রয়োজন আছে ওগুলোর কথা আমরা পরের আলোচনা করব।

মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসার দাম ১০,০০০ থেকে ১২,০০০ টাকা, মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসায় ভ্রমন বা চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে ভিসা করতে ১২০০০ এর বেশি টাকা লাগবেনা।

মালয়েশিয়া যেতে কত বয়স লাগে 

মালয়েশিয়া যেতে কত বয়স লাগে? এ প্রশ্নটি তাই করে যারা মালেশিয়াতে কাজের জন্য যেতে চাই।আপনি যদি মালেশিয়াতে কলিং ভিসাতে যেতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই কলিং ভিসার বয়স সীমা জেনে রাখাতে হবে।

মালয়েশিয়া যেতে যে ইনফরমেশন গুলো একজন বাংলাদেশ নাগরিকের প্রয়োজন হয় তার মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে কত বয়স লাগে সেই বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়।মালয়েশিয়ার যদি আপনি ওয়ার্ক পারমিটে যেতে চান তবে আপনার ন্যূনতম ২৭ বছর বয়স হওয়া লাগবে। 

কিন্তু মালয়েশিয়াতে যে আইটি সেক্টর গুলো রয়েছে, সেখানে কাজের ক্ষেত্রে আপনি ২৩ বছর বয়সেও এপ্লাই করতে পারেন। এবং স্টুডেন্ট ভিসায় মালয়েশিয়া যেতে সর্বনিম্ন ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩৫ বছর বয়স লাগে। 

মালয়েশিয়া যেতে কি কি পরীক্ষা করতে হয় 

মালয়েশিয়া যেতে কি কি পরীক্ষা করতে হয় তা জানা থাকলে আপনি আগে থেকেই প্রস্তুত হতে পারবেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মত মালয়েশিয়াতে প্রবেশের আগে কিছু নির্দিষ্ট পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আপনাকে যেতে হবে।

আপনি যদি মালয়েশিয়ায় ভ্রমণ বা কাজ করতে চান তবে আপনাকে কয়েকটি পরীক্ষার জন্য ডাক্তারের দ্বারা একটি মেডিকেল পরীক্ষা করাতে হবে। মালয়েশিয়ার ভিসা মেডিকেলের জন্য পরীক্ষাগুলো নিম্নরূপ-

  • একটি সাধারণ মেডিকেল পরীক্ষা।
  • করোনা পরীক্ষা। 
  • আপনার পূর্ববর্তি চিকিৎসা ইতিহাসের একটি ওভারভিউ।
  • হেপাটাইটিস বি ও সি, সিফিলিস এবং এইচআইভির জন্য রক্ত ​​পরীক্ষা।
  • প্রস্রাব পরীক্ষা।
  • বুকের এক্স - রে।

মালয়েশিয়া গিয়ে পড়াশোনা করার খরচ কত 

মালয়েশিয়া গিয়ে পড়াশোনা করার খরচ কত তা আপনার বাছায় করা শিহ্মা প্রতিষ্টানের উপর নির্ভর করবে। স্কলারশিপ  ছাড়া মালয়েশিয়া গিয়ে পড়াশোনা করার খরচ বেশ ব্যয়বহুল। স্টুডেন্ট হিসেবে মালয়েশিয়ার ভিসা নূন্যতম বয়স হচ্ছে ১৮ বছর।

মালয়েশিয়া গিয়ে পড়াশুনা করার জন্য আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা লাগবে সর্বোচ্চ এসএসসি পাস। মালয়েশিয়াতে গিয়ে আপনি ইঞ্জিনিয়ারিং,বিভিন্ন বিষয়ের উপর ডিপ্লোমা, হেলথ মেডিসিন,কম্পিউটার সাইন্স, ইকোনোমিক্স এবং মাস্টার্স কমপ্লিট করতে পারবেন।

মালয়েশিয়া গিয়ে পড়াশোনার খরচ নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের ইউনিভার্সিটি বাছাই করছেন আপনার জন্য। অন্যান্য দেশের মতো মালয়েশিয়াতেও সরকারি এবং বেসরকারি উভয় বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।  

মালয়েশিয়া গিয়ে পড়াশোনা করার খরচ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীকে টিউশন ফি সহ প্রতিবছর ৫৫৫,০০০ টাকা প্রদান করতে হবে। এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে টিউশন ফি সহ আপনাকে ৯২৫,০০০ টাকা প্রতি বছর খরচ করতে হবে। 

তাছাড়া অন্যান্য আনুষাঙ্গিক খরচ তো রয়েছে; যেমন হোস্টেল ফি, খাওয়া-দাওয়ার খরচ এবং ট্রান্সপটেশনের খরচ যার পরিমাণ নির্ভর করে আপনি কতটা উন্নতশীল শহরে রয়েছেন তার ওপর। সেই ভিত্তিতে ধারণা করা যেতে পারে, একজন ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থী হিসেবে মালয়েশিয়াতে আপনার প্রতিবছর ১৫০০০০-২০০০০০ টাকা খরচ হবে।  

মালয়েশিয়ার স্কলারশিপ পেতে কি করতে হবে

মালয়েশিয়ার স্কলারশিপ পেতে কি করতে হবে এর উত্তর আজ আমরা দিব। মালয়েশিয়া বিশ্বের অন্যতম উন্নয়নশীল দেশ যার কোনো রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নেই এবং এটি এশিয়ার একটি নতুন শিল্পোন্নত বাজার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। 

বর্তমানে মালয়েশিয়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশেষ করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সেরা উচ্চশিহ্মার গন্তব্য। প্রতি বছর মালয়েশিয়া বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক আন্তর্জাতিক ছাত্রদের স্বাগত জানায়। এটি বসবাসের জন্য এশিয়ার সেরা স্থানগুলোর মধ্যে একটি৷ 

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের স্টুডেন্টরা মালয়েশিয়াকে তাদের উচ্চশিহ্মার  গন্তব্য হিসাবে বেছে নেয় কারণ এর বিশাল সুবিধা রয়েছে৷ বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য মালয়েশিয়ায় স্কলারশিপ বা বৃত্তির সুবিধা রয়েছে। মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের খরচ পরিচালনা করার জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ বা বৃত্তি প্রদান করে। 

শিক্ষার্থীরা স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর অধ্যয়ন প্রোগ্রামে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। স্কলারশিপ বা বৃত্তির প্রকারভেদ নিম্নরূপ-

  • খাজানাহ গ্লোবাল স্কলারশিপ।
  • MyBrainSc স্কলারশিপ।
  • শেল মালয়েশিয়া ওভারসিজ আন্ডারগ্রাজুয়েট স্কলারশিপ অ্যাওয়ার্ডস।
  • ব্যাংক নেগারা স্কলারশিপ।
  • জেপিএ স্কলারশিপ - প্রোগ্রাম জেকেপিজে।
  • UEM গ্রুপ আন্ডারগ্রাজুয়েট ওভারসিজ স্কলারশিপ।
  • ফুলব্রাইট প্রোগ্রাম।
  • মালয়েশিয়ান শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিল গ্রেট স্কলারশিপ।

মালয়েশিয়ার স্কলারশিপ পেতে আপনাকে উপরোক্ত প্রোগ্রাম গুলোতে আবেদন করতে হবে। মালয়েশিয়ার স্কলারশিপ পেতে কিভাবে আবেদন করতে হবে তা জানা প্রয়োজন। 

প্রতিটি স্কলারশিপ আবেদনের নিজস্ব প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, যে কারণে নিম্নলিখিত উপায় গুলো আপনার জন্য অত্যন্ত কার্যকর হবে। 

একটি বৃত্তি আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় সাধারণ নথি (ইঙ্গিত: তাদের তাড়াতাড়ি প্রস্তুত করুন)-
  • পরীক্ষার ফলাফলের মার্কশিট, যেমন  এসপিএম, এসটিপিএম, ও লেভেল, আইজিসিএসই ইত্যাদি।
  • পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপে আপনার অংশগ্রহণের সনদপত্র এবং প্রশংসাপত্র।
  • পিতামাতার আর্থিক তথ্য, যেমন  ট্যাক্স রিটার্ন ফর্ম, বেতন স্লিপ, ইত্যাদি।
  • ব্যক্তিগত বিবৃতি এবং/অথবা প্রবন্ধ।
  • সুপারিশের জন্য এক বা একাধিক চিঠি দেওয়া।
  • স্কলারশিপের জন্য যোগ্যতার প্রমাণ (যেমন, ক্রীড়া বৃত্তির জন্য, রাজ্য বা জাতীয় স্তরে অংশগ্রহণের প্রমাণ)।

বিঃদ্রিঃ অনেক প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেটের প্রত্যয়িত সত্য কপির প্রয়োজন হয় (যা আপনার আগের স্কুল দ্বারা করা যেতে পারে)। আপনাকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হলে কেউ কেউ আসল সার্টিফিকেট দেখার অনুরোধ করতে পারে। 

মালয়েশিয়াতে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করার সময়, আপনার BM তে থাকা ট্রান্সক্রিপ্টগুলোকে অন্য ভাষায় (সাধারণত ইংরেজিতে) প্রতিলিপি করার প্রয়োজন হতে পারে।

মালয়েশিয়ার চাকরির বেতন কত 

মালয়েশিয়ার চাকরির বেতন কত? তা জানতে হলে আপনাকে এই সম্পূর্ন প্যারাটি পড়তে হবে। শ্রম অভিবাসনের ক্ষেত্রে, সৌদি আরব এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রথম পছন্দ ছিল কিন্তু, এখন সর্বাধিক সংখ্যক অভিবাসী শ্রমিক মালয়েশিয়ায় যেতে চাই।

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, মালয়েশিয়া সাড়ে তিন বছরের বিরতির পর গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ পুনরায় শুরু করার পর থেকে চলতি বছরের মে মাসে ৩৫,১৯০ জন কর্মী নিয়োগ করেছে।

অন্যদিকে সৌদি আরব মে মাসে বাংলাদেশ থেকে ২৯ হাজার ৬৬৭ জন কর্মী নিয়োগ করেছে। শ্রম নিয়োগকারীরা বলছেন, তেল সমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশগুলোর তুলনায় মালয়েশিয়া ভালো বেতন কাঠামো প্রদান করায় আরও বেশি কর্মী যাচ্ছেন। 

লোভনীয় বেতনের পাশাপাশি বাংলাদেশি শ্রমিকদের আগ্রহের পিছনে আরেকটি কারণ, মালয়েশিয়ার আবহাওয়ার অবস্থা, যা প্রায় বাংলাদেশের মতো।

মালয়েশিয়ার চাকরির বেতন 

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) যুগ্ম সম্পাদক মোঃ টিপু সুলতান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন,সৌদি আরবে একজন বাংলাদেশি শ্রমিক সর্বনিম্ন বেতন পান ৮০০-১০০০ সৌদি রিয়াল (প্রায় ২৩,০০০ - ২৮,০০০ টাকা)। 

এবং মালয়েশিয়ায় সর্বনিম্ন বেতন ১৫০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত (যা ৩৫০০০ টাকা) তাই, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার পর, বাংলাদেশী শ্রমিকরা এখন স্বাভাবিকভাবেই এর দিকে ঝুঁকছে। 

লেখকের মন্তব্যঃ মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪ সালে স্কলারশিপ নিয়ে 

মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪ সালে যার উচ্চ অভিবাসন ব্যয় এখনও বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য উদ্বেগের বিষয়, যারা মালয়েশিয়া এবং সৌদি আরব উভয় দিকেই যাওয়ার প্রবণতা রাখে তাদের জন্য।

যদিও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় মালয়েশিয়া যেতে ৭৯,০০০ টাকা খরচ নির্ধারণ করেছে,তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মালয়েশিয়াগামী কর্মী টিবিএসকে বলেছেন যে তাকে রিক্রুটিং এজেন্সিকে ৪ লাখ টাকার বেশি দিতে হয়েছে।

আশাকরি যারা ওয়ার্ক পারমিট অথবা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া যেতে চান তারা আমাদের আর্টিকেল দেওয়া খরচ গুলো ভালো করে অনুধাবন করবেন। আমরা চেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব তথ্য আপনাদের কাছে উপস্থাপন করার।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আইটি সমাজের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url